একটি ফুলের আত্মপ্রলাপ
বিজয় কুমার দাস
সেই ছোট্টবেলায়
যখন মায়ের দেহ থেকে
নাভি বিচ্ছিন্ন হয়ে
এলাম এই ধরাধামে
সেদিন থেকেই দেখি তোকে
কেবলই দেখি।
আমার বুকে তোর চু-কিত-কিতের পা
পাপড়ি ভাঙার প্রতিটা শব্দ তোর মুখস্থ,
মাঝে মাঝে নাকে নাক
ঘ্রাণ বিনিময়,
আবার ইচ্ছে হলে তোর মাথার
দুটো শিং-বেনুনীতে,
চুলের গন্ধে আমি তখন দিশেহারা
একদম দিশেহারা।
যখন আমাকে তোর গালে ঠোঁটে বুলিয়ে
পেলব বুকে জড়িয়ে ধরিস
আমি অস্ফুটে বলি,
“এভাবেই থাকতে চাই আজীবন...
ঠিক এভাবেই”।
কিন্তু সেই যে কালো দিনটা !
তুই সাজলি, গলায় ঝুলোলি
বেশ মনে আছে আমার।
দু’দিন আমাকে নিয়ে
কি ছেলেখেলাটাই না করলি !
সেই ফুলশয্যার রাত্রে
আমার সামনে তোর উন্মুক্ত দেহ,
চেয়ে রইলাম নিস্পলক
অসহায় ফাঁকা ফাঁকা বুক নিয়ে,
মাতাল পাপড়িগুলো ঝিমিয়ে
ডুকরে কেঁদেছিল,
কেঁদেছিল দিন-মাস-বছরের হিসেব না কষে।
আমার ঘায়ে মূর্ছা যেতে তোকে দেখেনি কোনোদিন
তবে কেন আমার এতো বদনাম !
কেন ?
আজ তোর শেষ যাত্রাতেও দেখ
কেমন আমি নির্নিমেষে চেয়ে আছি,
তোর স্থির চোখ দুটোতে চঞ্চলতা খুঁজছি,
তুই চলেছিস ফুলে ফুলেল হয়ে
কাউকে তোয়াক্কা না করে।
তোর সারা দেহে কেবল আমার অধিকার
কেবল আমার।
….. ছলছল
পাপড়ি বেয়ে নেমে আসে
কয়েক ফোঁটা নিস্যন্দ।
© Bijoy Kr Das. All Rights Reserved.
Unauthorized use or reproduction for any reason is prohibited.
very nice
ReplyDelete